রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

ফটিকছড়ির হেয়াকো থেকে আড়াই কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবা জব্দ 

চট্টগ্রাম ব্যুরো : র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম  জেলার ভুজপুর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪৯ হাজার ৫শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ১ টি মাইক্রোবাসসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে   ।

ও্যাব ৭ সূত্রের খবর , র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফ থেকে একটি মাইক্রোবাস  যোগে বিপুল পরিমাণ মাদক নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে গত ৯ এপ্রিল রাতে স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়াত জামিল ফাহিম  এর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি   দল চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানাধীন হেঁয়াকো বাজার এলাকায়  ফেনী-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি করতে থাকে। এ সময় টেকনাফ হতে ঢাকাগামী ১টি মাইক্রোবাসের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে র‌্যাব সদস্যরা মাইক্রোবাসটিকে থামানোর সংকেত দিলে গাড়িটি র‌্যাবের চেকপোস্ট অতিক্রম করে রাস্তার পাশে থামিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে  মোঃ কালাম মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত মিছির মিয়া, বাসা/হোল্ডিং-রংধনু ২১৭/৬, ৬ নং পূর্ব চৌকিদেখি, সিলেট’কে আটক করে। পরবর্তীতে  আটককৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে মাইক্রোবাসটি (ঢাকা-মেট্রো-গ-১-৫৩৮১) তল্লাশী করে গাড়িটির ভিতরে সুকৌশলে লুকানো অবস্থায় ৪৯,৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ উক্ত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা এবং জব্দকৃত মাইক্রোবাসটির আনুমানিক মূল্য ২৫ লক্ষ টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ (সংশোধনী/২০০৪) এর ১৯(১) টেবিলের ৯(খ)/২১/২৫ ধারা মোতাবেক চট্টগ্রাম জেলার ভুজপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১০,০০০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৭। সূত্রের খবর  র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানাধীন পল্টন রোডস্থ গালিফ ক্যাফে রেস্টুরেন্টের মধ্যে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে গত ৯ এপ্রিল রাতে লেঃ কমান্ডার আশেকুর রহমান  এর নেতৃত্বে র‌্যাব-৭ এর একটি   দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে   মোঃ জাহাঙ্গীর (৩১), পিতা-মীর আব্দুল আজিজ, গ্রাম-সবুজবাগ, থানা-সোনাডাংগা, জেলা-খুলনা, বর্তমান ঠিকানা- আকমল আলী রোড, সিমেন্ট ক্রসিং (আক্কাস সওদাগরের বাড়ী), থানা-ইপিজেট, সিএমপি, চট্টগ্রাম’কে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীর দেহ তল্লাশী করে ১০,০০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ (সংশোধনী/২০০৪) এর ১৯(১) টেবিলের ৯(খ) ধারা মোতাবেক চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

র‌্যাব-৭ কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ টি অস্ত্র  এবং ১৮ রাউন্ড গুলীসহ ৭ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে ।

র‌্যাব ৭ সূত্রের খবর,  র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন গোমাতলী লবনের ঘের এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদল লবন চাষিদের এবং ব্যবসায়ীদেরকে অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জোর পূর্বক জমি দখল, চাঁদা আদায়, লবন ডাকাতিসহ দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে আসছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে   ১০ এপ্রিল সকালে  মেজর মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি  দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টকালে র‌্যাব সদস্যরা    হেলাল উদ্দিন (৪০), পিতা মোজাহের আহমেদ, গ্রাম-জালালাবাদ,   মোঃ আঃ শুক্কুর (৬৭), পিতা-মৃত সৈয়দ আহমদ, গ্রাম-জালালাবাদ,   নুরুল হাকিম (৩২), পিতা-মোন্তাজ মাহমুদ, গ্রাম-পশ্চিম আছাখালী নতুন বাজার,    আঃ রাজ্জাক (১৮), পিতা-মৃত রশিদ আহমেদ, গ্রাম-ফসিয়াখালী,   মোঃ জসিম উদ্দিন (৫০), পিতা-মৃত বদিউজ্জামান, গ্রাম-পূর্বপোকখালী,   মোঃ মবিন (৪০), পিতা-সৈয়দ নুর, গ্রাম-গোমাতলী এবং    আঃ রহমান (৪০), পিতা-আমির মোহাম্মদ, গ্রাম-পূর্বপোকখালী, সর্ব থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার’দেরকে আটক করে। পরবর্তীতে   আটককৃত আসামীদের দেহ এবং লবনের ঘেরে তল্লাশী করে ৬ টি ওয়ান শুটারগান, ৫ টি এসবিবিএল, ১৮ রাউন্ড গুলী, ১ রাউন্ড খালী খোসা উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

 উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত উক্ত অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে থাকে এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তারের জন্য সর্বদা এসব অস্ত্র মজুদ রাখে। গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে দন্ডবিধি ৩৯৯/৪০২ এবং ১৮৭৮ সনের আর্মস এ্যাক্টের ১৯-অ ১৯-ঋ ধারা মোতাবেক কক্সবাজার জেলার সদর থানায় হস্তান্তও করা হয়েছে ।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ